শনিবার, ১৮ মে, ২০১৩

ভাগ্য যাচাই/ভবিষ্যৎ জানার জন্য গনকের নিকট যাওয়া প্রসঙ্গে হাদীস

আমরা প্রায়ই অনেকে শয়তানের ধোঁকায় পড়ে অথবা কৌতুহলবশত ভাগ্য গননার জন্য গণকদের কাছে যাই, তাদের কথা বিশ্বাস করি, ইত্যাদি। এ প্রসঙ্গে অনেকগুলো হাদিসের বর্ণনা এসেছে...তার মধ্যে নিম্নোক্ত একটা বর্ণনা তুলে ধরছিঃ

আয়েশা (রা.) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, কিছু লোক রাসূলুল্লাহ (সাঃ)-কে গণকদের সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলে তিনি বললেন, “ওরা অপদার্থ।” (অর্থাৎ ওদের কথার কোন মূল্য নেই)। তারা নিবেদন করল, ‘হে আল্লাহ্‌র রসূল! ওরা তো কখনো কখনো আমাদেরকে কোন জিনিস সম্পর্কে বলে, আর তা সত্য ঘটে যায়।’ রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেন, “এই সত্য কথাটি জ্বিন (ফিরিশতার নিকট থেকে) ছোঁ মেরে নিয়ে তার ভক্তের কানে পৌঁছে দেয়। তারপর সে ঐ (একটি সত্য) কথার সাথে একশ’টি মিথ্যা মিশিয়ে দেয়।”

(সহীহুল বুখারী ৩২১০, ৫৭৬২, ৬২১৩, ৭৫৬১, মুসলিম ২২২৮, আহামাদ ২৪০৪৯)

বুখারীর অন্য এক বর্ণনায় আছে, যা আয়েশা (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি রাসূলুল্লাহ (সাঃ)-কে বলতে শুনেছেন যে, “ফিরিশতাবর্গ আল্লাহ্‌র বিধানসমূহ নিয়ে মেঘমালার অভ্যন্তরে অবতরণ করেন এবং সে সব কথাবার্তা আলোচনা করেন, যার সিদ্ধান্ত আসমানে হয়েছে। সুতরাং শয়তান অতি সংগোপনে লুকিয়ে তা শুনে ফেলে এবং ভবিষ্যৎ-বক্তা গণকদের মনে প্রক্ষিপ্ত করে। তারপর তার সাথে তারা নিজেদের পক্ষ থেকে একশত মিথ্যা মিশ্রণ করে তা প্রচার করে ।”

ভাগ্য যাচাই/ভবিষ্যৎ জানার জন্য গনকের নিকট যাওয়া প্রসঙ্গে হাদীস

আমরা প্রায়ই অনেকে শয়তানের ধোঁকায় পড়ে অথবা কৌতুহলবশত ভাগ্য গননার জন্য গণকদের কাছে যাই, তাদের কথা বিশ্বাস করি, ইত্যাদি। এ প্রসঙ্গে অনেকগুলো হাদিসের বর্ণনা এসেছে...তার মধ্যে নিম্নোক্ত একটা বর্ণনা তুলে ধরছিঃ

আয়েশা (রা.) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, কিছু লোক রাসূলুল্লাহ (সাঃ)-কে গণকদের সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলে তিনি বললেন, “ওরা অপদার্থ।” (অর্থাৎ ওদের কথার কোন মূল্য নেই)। তারা নিবেদন করল, ‘হে আল্লাহ্‌র রসূল! ওরা তো কখনো কখনো আমাদেরকে কোন জিনিস সম্পর্কে বলে, আর তা সত্য ঘটে যায়।’ রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেন, “এই সত্য কথাটি জ্বিন (ফিরিশতার নিকট থেকে) ছোঁ মেরে নিয়ে তার ভক্তের কানে পৌঁছে দেয়। তারপর সে ঐ (একটি সত্য) কথার সাথে একশ’টি মিথ্যা মিশিয়ে দেয়।”

(সহীহুল বুখারী ৩২১০, ৫৭৬২, ৬২১৩, ৭৫৬১, মুসলিম ২২২৮, আহামাদ ২৪০৪৯)

বুখারীর অন্য এক বর্ণনায় আছে, যা আয়েশা (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি রাসূলুল্লাহ (সাঃ)-কে বলতে শুনেছেন যে, “ফিরিশতাবর্গ আল্লাহ্‌র বিধানসমূহ নিয়ে মেঘমালার অভ্যন্তরে অবতরণ করেন এবং সে সব কথাবার্তা আলোচনা করেন, যার সিদ্ধান্ত আসমানে হয়েছে। সুতরাং শয়তান অতি সংগোপনে লুকিয়ে তা শুনে ফেলে এবং ভবিষ্যৎ-বক্তা গণকদের মনে প্রক্ষিপ্ত করে। তারপর তার সাথে তারা নিজেদের পক্ষ থেকে একশত মিথ্যা মিশ্রণ করে তা প্রচার করে ।”

রবিবার, ২১ এপ্রিল, ২০১৩

পর্নোগ্রাফির কুফল

ইন্টারনেট পর্ণোগ্রাফি নিয়ে সাম্প্রতিক এক গবেষণায় দেখা যায় এটি এমন একটি তরুণ প্রজন্ম তৈরি করছে,
যারা শোবার ঘরে তাদের সঙ্গীর সাথে একেবারেই হতাশাজনক ফল দিচ্ছে। এই বিনোদন মাধ্যম তরুণগোষ্ঠীকে এতই
আকৃষ্ট ও প্রভাবিত করছে যে, তারা প্রকৃত নারীর কাছাকাছি আসলে তেমন একটা আকর্ষণ অনুভব করে না। তাই
যৌন অক্ষমতা এখন আর কেবল ভগ্ন শরীরের প্রৌঢ়দের মাঝে সীমাবদ্ধ নেই, এটা এখন আমাদের তরুণ
প্রজন্মের ভেতরও প্রকট হওয়া শুরু করেছে। যুক্তরাষ্ট্রের গবেষণা জার্নাল,
‘সাইকোলজি টুডে’তে একটি গবেষণাপত্রে সম্প্রতি প্রকাশিত এক বিবৃতিতে বলা হয়, ইন্টারনেট পর্ণগ্রাফি এখন
এতই স্বাভাবিক হয়ে গেছে যে, মাত্র বিশ বছরের তরুণ যুবকও প্রকৃত অর্থে স্বাভাবিকরকম যৌনাচরণ
করতে পারছে না। এর মূল কারণ কী হতে পারে? কারন হিসেবে বলা হয়েছে, যারা পর্ণো দেখে তাদের যৌন
উত্তেজনা তৈরিতে মস্তিষ্কে অস্বাভাবিক উত্তেজনার (মেডিক্যালের ভাষায় এটাকে বলে ডোপামাইন স্পাইক)
প্রয়োজন হয়। আর একবার কোনোভাবে এই উত্তেজনায় অভ্যস্ত হয়ে গেলে, তখন সাধারণ নারীতে আর সেই
একই উত্তেজনা আসে না এবং মস্তিষ্ক আগের মত কাজ করে না। ফলে ধরতে গেলে তারা নপুংশক হয়ে যায়।
এই গবেষণাপত্রের লেখিকা 'মারনিয়া রবিনসন' বলেন, যৌন
উত্তেজক গল্প, ছবি কিংবা ভিডিও—এগুলো অনেক
আগে থেকেই ছিল। কিন্তু হালকালের সহজলভ্য ইন্টারনেটের
কারণে এই ‘ডোপামাইন স্পাইক’ এখন সীমাহীন
পর্যায়ে চলে যাচ্ছে। ফলে এর প্রভাব হবে আরো অনেক
বেশি ক্ষতিকর। সম্প্রতি অনেক যুবকের ওপর
গবেষণা করে প্রমাণ পাওয়া গেছে যে, তাদের উপর এই
ডোপামাইন স্পাইকের প্রভাব এতটাই বেশি যে, ইন্টারনেটের
মাধ্যমে ক্রমাগত পর্ণ না দেখলে তারা কোনোরকম যৌন
উত্তেজনাই অনুভব করতে পারে না। তাদের কেউ তাই খুব
হতাশ হয়ে পড়েন, যখন দেখতে পান তাদের স্বাভাবিক যৌন
জীবন আর আগের মত স্বাভাবিক থাকছে না।
পাশাপাশি অনেকেই জানে না, ইন্টারনেট
পর্ণোগ্রাফি এভাবে যৌন উত্তেজনাকেও কমিয়ে ফেলতে পারে এবং এটা জানার পর
তারা মানসিকভাবে ভেঙে পড়ে।
লেখিকার মতে, এর থেকে মুক্তির উপায় হলো ব্রেনকে আবার রিবুট করা। অর্থাত্ পর্ণোগ্রাফি দেখা একদম বন্ধ
করে দেয়া এবং কয়েক মাস পুরোপুরি বিশ্রাম নেয়া। এর ফলে ব্রেন থেকে সেই অতি উত্তেজনাকর
সিগনালগুলো দুর্বল হয়ে যাবে এবং একটা সময় সেই মানুষটি স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসতেও পারে।
উঠতি বয়সী তরুণদের হাতে এখন কম্পিউটার এবং ইন্টারনেট রয়েছে। এর অর্থ হলো, তাদের কাছে পর্ণোগ্রাফি ২৪
ঘণ্টাই হাতের কাছে রয়েছে। আর ওই বয়সে একবার তাতে অভ্যস্ত হয়ে গেলে, তার পুরো জীবনের ওপর
সেটা প্রভাব ফেলতে বাধ্য।
প্রতিটি বাবা-মা’র উচিত হবে, এ বিষয়গুলো তার সন্তানদের ভালো করে বুঝিয়ে দেয়া এবং তরুণ
বয়সী ছেলেমেয়েদের বিষয়টি সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণা থাকা। মনে রাখতে হবে, ‘সেক্স এডুকেশন’ আর ‘সেক্স’ এক
জিনিস নয়। শিক্ষা মানুষকে সুন্দর করার জন্য। তাই ভুল কোনো ধারণায় বশবর্তী না হয়ে সঠিক শিক্ষাটি নিন,
ভালো থাকুন।
সুত্রঃ দৈনিক আমার দেশ, সাইকোলজি টুডে।

পর্নোগ্রাফির কুফল

ইন্টারনেট পর্ণোগ্রাফি নিয়ে সাম্প্রতিক এক গবেষণায় দেখা যায় এটি এমন একটি তরুণ প্রজন্ম তৈরি করছে,
যারা শোবার ঘরে তাদের সঙ্গীর সাথে একেবারেই হতাশাজনক ফল দিচ্ছে। এই বিনোদন মাধ্যম তরুণগোষ্ঠীকে এতই
আকৃষ্ট ও প্রভাবিত করছে যে, তারা প্রকৃত নারীর কাছাকাছি আসলে তেমন একটা আকর্ষণ অনুভব করে না। তাই
যৌন অক্ষমতা এখন আর কেবল ভগ্ন শরীরের প্রৌঢ়দের মাঝে সীমাবদ্ধ নেই, এটা এখন আমাদের তরুণ
প্রজন্মের ভেতরও প্রকট হওয়া শুরু করেছে। যুক্তরাষ্ট্রের গবেষণা জার্নাল,
‘সাইকোলজি টুডে’তে একটি গবেষণাপত্রে সম্প্রতি প্রকাশিত এক বিবৃতিতে বলা হয়, ইন্টারনেট পর্ণগ্রাফি এখন
এতই স্বাভাবিক হয়ে গেছে যে, মাত্র বিশ বছরের তরুণ যুবকও প্রকৃত অর্থে স্বাভাবিকরকম যৌনাচরণ
করতে পারছে না। এর মূল কারণ কী হতে পারে? কারন হিসেবে বলা হয়েছে, যারা পর্ণো দেখে তাদের যৌন
উত্তেজনা তৈরিতে মস্তিষ্কে অস্বাভাবিক উত্তেজনার (মেডিক্যালের ভাষায় এটাকে বলে ডোপামাইন স্পাইক)
প্রয়োজন হয়। আর একবার কোনোভাবে এই উত্তেজনায় অভ্যস্ত হয়ে গেলে, তখন সাধারণ নারীতে আর সেই
একই উত্তেজনা আসে না এবং মস্তিষ্ক আগের মত কাজ করে না। ফলে ধরতে গেলে তারা নপুংশক হয়ে যায়।
এই গবেষণাপত্রের লেখিকা 'মারনিয়া রবিনসন' বলেন, যৌন
উত্তেজক গল্প, ছবি কিংবা ভিডিও—এগুলো অনেক
আগে থেকেই ছিল। কিন্তু হালকালের সহজলভ্য ইন্টারনেটের
কারণে এই ‘ডোপামাইন স্পাইক’ এখন সীমাহীন
পর্যায়ে চলে যাচ্ছে। ফলে এর প্রভাব হবে আরো অনেক
বেশি ক্ষতিকর। সম্প্রতি অনেক যুবকের ওপর
গবেষণা করে প্রমাণ পাওয়া গেছে যে, তাদের উপর এই
ডোপামাইন স্পাইকের প্রভাব এতটাই বেশি যে, ইন্টারনেটের
মাধ্যমে ক্রমাগত পর্ণ না দেখলে তারা কোনোরকম যৌন
উত্তেজনাই অনুভব করতে পারে না। তাদের কেউ তাই খুব
হতাশ হয়ে পড়েন, যখন দেখতে পান তাদের স্বাভাবিক যৌন
জীবন আর আগের মত স্বাভাবিক থাকছে না।
পাশাপাশি অনেকেই জানে না, ইন্টারনেট
পর্ণোগ্রাফি এভাবে যৌন উত্তেজনাকেও কমিয়ে ফেলতে পারে এবং এটা জানার পর
তারা মানসিকভাবে ভেঙে পড়ে।
লেখিকার মতে, এর থেকে মুক্তির উপায় হলো ব্রেনকে আবার রিবুট করা। অর্থাত্ পর্ণোগ্রাফি দেখা একদম বন্ধ
করে দেয়া এবং কয়েক মাস পুরোপুরি বিশ্রাম নেয়া। এর ফলে ব্রেন থেকে সেই অতি উত্তেজনাকর
সিগনালগুলো দুর্বল হয়ে যাবে এবং একটা সময় সেই মানুষটি স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসতেও পারে।
উঠতি বয়সী তরুণদের হাতে এখন কম্পিউটার এবং ইন্টারনেট রয়েছে। এর অর্থ হলো, তাদের কাছে পর্ণোগ্রাফি ২৪
ঘণ্টাই হাতের কাছে রয়েছে। আর ওই বয়সে একবার তাতে অভ্যস্ত হয়ে গেলে, তার পুরো জীবনের ওপর
সেটা প্রভাব ফেলতে বাধ্য।
প্রতিটি বাবা-মা’র উচিত হবে, এ বিষয়গুলো তার সন্তানদের ভালো করে বুঝিয়ে দেয়া এবং তরুণ
বয়সী ছেলেমেয়েদের বিষয়টি সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণা থাকা। মনে রাখতে হবে, ‘সেক্স এডুকেশন’ আর ‘সেক্স’ এক
জিনিস নয়। শিক্ষা মানুষকে সুন্দর করার জন্য। তাই ভুল কোনো ধারণায় বশবর্তী না হয়ে সঠিক শিক্ষাটি নিন,
ভালো থাকুন।
সুত্রঃ দৈনিক আমার দেশ, সাইকোলজি টুডে।

পর্নোগ্রাফির কুফল

ইন্টারনেট পর্ণোগ্রাফি নিয়ে সাম্প্রতিক এক গবেষণায় দেখা যায় এটি এমন একটি তরুণ প্রজন্ম তৈরি করছে,
যারা শোবার ঘরে তাদের সঙ্গীর সাথে একেবারেই হতাশাজনক ফল দিচ্ছে। এই বিনোদন মাধ্যম তরুণগোষ্ঠীকে এতই
আকৃষ্ট ও প্রভাবিত করছে যে, তারা প্রকৃত নারীর কাছাকাছি আসলে তেমন একটা আকর্ষণ অনুভব করে না। তাই
যৌন অক্ষমতা এখন আর কেবল ভগ্ন শরীরের প্রৌঢ়দের মাঝে সীমাবদ্ধ নেই, এটা এখন আমাদের তরুণ
প্রজন্মের ভেতরও প্রকট হওয়া শুরু করেছে। যুক্তরাষ্ট্রের গবেষণা জার্নাল,
‘সাইকোলজি টুডে’তে একটি গবেষণাপত্রে সম্প্রতি প্রকাশিত এক বিবৃতিতে বলা হয়, ইন্টারনেট পর্ণগ্রাফি এখন
এতই স্বাভাবিক হয়ে গেছে যে, মাত্র বিশ বছরের তরুণ যুবকও প্রকৃত অর্থে স্বাভাবিকরকম যৌনাচরণ
করতে পারছে না। এর মূল কারণ কী হতে পারে? কারন হিসেবে বলা হয়েছে, যারা পর্ণো দেখে তাদের যৌন
উত্তেজনা তৈরিতে মস্তিষ্কে অস্বাভাবিক উত্তেজনার (মেডিক্যালের ভাষায় এটাকে বলে ডোপামাইন স্পাইক)
প্রয়োজন হয়। আর একবার কোনোভাবে এই উত্তেজনায় অভ্যস্ত হয়ে গেলে, তখন সাধারণ নারীতে আর সেই
একই উত্তেজনা আসে না এবং মস্তিষ্ক আগের মত কাজ করে না। ফলে ধরতে গেলে তারা নপুংশক হয়ে যায়।
এই গবেষণাপত্রের লেখিকা 'মারনিয়া রবিনসন' বলেন, যৌন
উত্তেজক গল্প, ছবি কিংবা ভিডিও—এগুলো অনেক
আগে থেকেই ছিল। কিন্তু হালকালের সহজলভ্য ইন্টারনেটের
কারণে এই ‘ডোপামাইন স্পাইক’ এখন সীমাহীন
পর্যায়ে চলে যাচ্ছে। ফলে এর প্রভাব হবে আরো অনেক
বেশি ক্ষতিকর। সম্প্রতি অনেক যুবকের ওপর
গবেষণা করে প্রমাণ পাওয়া গেছে যে, তাদের উপর এই
ডোপামাইন স্পাইকের প্রভাব এতটাই বেশি যে, ইন্টারনেটের
মাধ্যমে ক্রমাগত পর্ণ না দেখলে তারা কোনোরকম যৌন
উত্তেজনাই অনুভব করতে পারে না। তাদের কেউ তাই খুব
হতাশ হয়ে পড়েন, যখন দেখতে পান তাদের স্বাভাবিক যৌন
জীবন আর আগের মত স্বাভাবিক থাকছে না।
পাশাপাশি অনেকেই জানে না, ইন্টারনেট
পর্ণোগ্রাফি এভাবে যৌন উত্তেজনাকেও কমিয়ে ফেলতে পারে এবং এটা জানার পর
তারা মানসিকভাবে ভেঙে পড়ে।
লেখিকার মতে, এর থেকে মুক্তির উপায় হলো ব্রেনকে আবার রিবুট করা। অর্থাত্ পর্ণোগ্রাফি দেখা একদম বন্ধ
করে দেয়া এবং কয়েক মাস পুরোপুরি বিশ্রাম নেয়া। এর ফলে ব্রেন থেকে সেই অতি উত্তেজনাকর
সিগনালগুলো দুর্বল হয়ে যাবে এবং একটা সময় সেই মানুষটি স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসতেও পারে।
উঠতি বয়সী তরুণদের হাতে এখন কম্পিউটার এবং ইন্টারনেট রয়েছে। এর অর্থ হলো, তাদের কাছে পর্ণোগ্রাফি ২৪
ঘণ্টাই হাতের কাছে রয়েছে। আর ওই বয়সে একবার তাতে অভ্যস্ত হয়ে গেলে, তার পুরো জীবনের ওপর
সেটা প্রভাব ফেলতে বাধ্য।
প্রতিটি বাবা-মা’র উচিত হবে, এ বিষয়গুলো তার সন্তানদের ভালো করে বুঝিয়ে দেয়া এবং তরুণ
বয়সী ছেলেমেয়েদের বিষয়টি সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণা থাকা। মনে রাখতে হবে, ‘সেক্স এডুকেশন’ আর ‘সেক্স’ এক
জিনিস নয়। শিক্ষা মানুষকে সুন্দর করার জন্য। তাই ভুল কোনো ধারণায় বশবর্তী না হয়ে সঠিক শিক্ষাটি নিন,
ভালো থাকুন।
সুত্রঃ দৈনিক আমার দেশ, সাইকোলজি টুডে।

পর্নোগ্রাফির কুফল

ইন্টারনেট পর্ণোগ্রাফি নিয়ে সাম্প্রতিক এক গবেষণায় দেখা যায় এটি এমন একটি তরুণ প্রজন্ম তৈরি করছে,
যারা শোবার ঘরে তাদের সঙ্গীর সাথে একেবারেই হতাশাজনক ফল দিচ্ছে। এই বিনোদন মাধ্যম তরুণগোষ্ঠীকে এতই
আকৃষ্ট ও প্রভাবিত করছে যে, তারা প্রকৃত নারীর কাছাকাছি আসলে তেমন একটা আকর্ষণ অনুভব করে না। তাই
যৌন অক্ষমতা এখন আর কেবল ভগ্ন শরীরের প্রৌঢ়দের মাঝে সীমাবদ্ধ নেই, এটা এখন আমাদের তরুণ
প্রজন্মের ভেতরও প্রকট হওয়া শুরু করেছে। যুক্তরাষ্ট্রের গবেষণা জার্নাল,
‘সাইকোলজি টুডে’তে একটি গবেষণাপত্রে সম্প্রতি প্রকাশিত এক বিবৃতিতে বলা হয়, ইন্টারনেট পর্ণগ্রাফি এখন
এতই স্বাভাবিক হয়ে গেছে যে, মাত্র বিশ বছরের তরুণ যুবকও প্রকৃত অর্থে স্বাভাবিকরকম যৌনাচরণ
করতে পারছে না। এর মূল কারণ কী হতে পারে? কারন হিসেবে বলা হয়েছে, যারা পর্ণো দেখে তাদের যৌন
উত্তেজনা তৈরিতে মস্তিষ্কে অস্বাভাবিক উত্তেজনার (মেডিক্যালের ভাষায় এটাকে বলে ডোপামাইন স্পাইক)
প্রয়োজন হয়। আর একবার কোনোভাবে এই উত্তেজনায় অভ্যস্ত হয়ে গেলে, তখন সাধারণ নারীতে আর সেই
একই উত্তেজনা আসে না এবং মস্তিষ্ক আগের মত কাজ করে না। ফলে ধরতে গেলে তারা নপুংশক হয়ে যায়।
এই গবেষণাপত্রের লেখিকা 'মারনিয়া রবিনসন' বলেন, যৌন
উত্তেজক গল্প, ছবি কিংবা ভিডিও—এগুলো অনেক
আগে থেকেই ছিল। কিন্তু হালকালের সহজলভ্য ইন্টারনেটের
কারণে এই ‘ডোপামাইন স্পাইক’ এখন সীমাহীন
পর্যায়ে চলে যাচ্ছে। ফলে এর প্রভাব হবে আরো অনেক
বেশি ক্ষতিকর। সম্প্রতি অনেক যুবকের ওপর
গবেষণা করে প্রমাণ পাওয়া গেছে যে, তাদের উপর এই
ডোপামাইন স্পাইকের প্রভাব এতটাই বেশি যে, ইন্টারনেটের
মাধ্যমে ক্রমাগত পর্ণ না দেখলে তারা কোনোরকম যৌন
উত্তেজনাই অনুভব করতে পারে না। তাদের কেউ তাই খুব
হতাশ হয়ে পড়েন, যখন দেখতে পান তাদের স্বাভাবিক যৌন
জীবন আর আগের মত স্বাভাবিক থাকছে না।
পাশাপাশি অনেকেই জানে না, ইন্টারনেট
পর্ণোগ্রাফি এভাবে যৌন উত্তেজনাকেও কমিয়ে ফেলতে পারে এবং এটা জানার পর
তারা মানসিকভাবে ভেঙে পড়ে।
লেখিকার মতে, এর থেকে মুক্তির উপায় হলো ব্রেনকে আবার রিবুট করা। অর্থাত্ পর্ণোগ্রাফি দেখা একদম বন্ধ
করে দেয়া এবং কয়েক মাস পুরোপুরি বিশ্রাম নেয়া। এর ফলে ব্রেন থেকে সেই অতি উত্তেজনাকর
সিগনালগুলো দুর্বল হয়ে যাবে এবং একটা সময় সেই মানুষটি স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসতেও পারে।
উঠতি বয়সী তরুণদের হাতে এখন কম্পিউটার এবং ইন্টারনেট রয়েছে। এর অর্থ হলো, তাদের কাছে পর্ণোগ্রাফি ২৪
ঘণ্টাই হাতের কাছে রয়েছে। আর ওই বয়সে একবার তাতে অভ্যস্ত হয়ে গেলে, তার পুরো জীবনের ওপর
সেটা প্রভাব ফেলতে বাধ্য।
প্রতিটি বাবা-মা’র উচিত হবে, এ বিষয়গুলো তার সন্তানদের ভালো করে বুঝিয়ে দেয়া এবং তরুণ
বয়সী ছেলেমেয়েদের বিষয়টি সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণা থাকা। মনে রাখতে হবে, ‘সেক্স এডুকেশন’ আর ‘সেক্স’ এক
জিনিস নয়। শিক্ষা মানুষকে সুন্দর করার জন্য। তাই ভুল কোনো ধারণায় বশবর্তী না হয়ে সঠিক শিক্ষাটি নিন,
ভালো থাকুন।
সুত্রঃ দৈনিক আমার দেশ, সাইকোলজি টুডে।