বুধবার, ৬ মার্চ, ২০১৩

পোশাক এবং বেশ সম্পর্কিত

ইবনে আব্বাস রা. থেকে বর্ণিত, রাসূলে করীম
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ঐ সকল
মহিলাকে অভিসম্পাত করেছেন যারা পুরুষের বেশ
ধারণ করে এবং ঐ সকল পুরুষকে অভিসম্পাত
করেছেন যারা মহিলার বেশ ধারণ করে। ( সহীহ
আল-জামে হাদীস নং ,৪৫৮৪ )

পবিত্র কুরআন সম্পর্কে নেপোলিয়ানের বক্তব্য

পবিত্র কোরআন
সম্পর্কে বিশ্ববিজয়ী নেপোলিয়ান বলেছেন :
‘আমি বিশ্বাস করি সেদিন বেশি দূরে নয়, যেদিন
পৃথিবীর সমস্ত দেশের জ্ঞানী ও শিক্ষিত
মানুষকে কোরআনের নীতি ও আদর্শের
ভিত্তিতে ঐক্যবদ্ধ করে একটি সমতাভিত্তিক
সমাজ প্রতিষ্ঠা করা যাবে। কারণ একমাত্র
পবিত্র কোরআনের নীতিগুলোই সত্য
যা মানবজাতিকে শান্তি ও সমৃদ্ধির
দিকে নিয়ে যেতে পারে।’

বাংলদেশ সম্পর্কে কিছু তথ্য

বাংলাদেশ সম্বন্ধে কিছু তথ্য।
--বাংলাদেশ--
• বিশ্বের ৭৬তম ধনী রাষ্ট্র।
•অন্যতম শক্তিশালি ১০টি মুসলিম
দেশের একটি।
•এখানে রয়েছে বিশ্বের সবচেয়ে বড়
সমুদ্র সৈকত(কক্সবাজার)
•বিশ্বের সবচেয়ে বড় লোনা পানির
বনাঞ্চল (সুন্দরবন) এখানে।
•বিশ্বের ১১তম দীর্ঘ সেতু(যমুনা সেতু)
তো এদেশেই।
•জাতিসংঘ
শান্তি রক্ষা মিশনে সবচেয়ে বেশী সৈন্য
প্রেরন করা দেশ।
•রপ্তানিকারক দেশ
হিসাবে বিশ্বে ২৭তম, গার্মেন্টস
শিল্পে প্রথম।
প্রাকৃতিক সম্পদে ভরপুর এ দেশটি ২০৫০
সালে বিশ্বের অন্যতম ১০টি ক্ষমতাধর
দেশের একটিতে পরিণত হতে যাচ্ছে।
ইনশাল্লাহ ♥

হযরত আলী (রাঃ) এর বাণী সমুহ

১।বুদ্ধিমানেরা বিনয়ের দ্বারা সম্মান অর্জন করে,
আর বোকারা ঔদ্ধত্যের দ্বারা অপদস্ত হয়।
২।অনুশোচনা খারাপ কাজকে বিলুপ্ত করে আর
অহংকার ভালো কাজকে ধ্বংস করে।
৩।অনর্থক কামনা নিজেই একটি ধ্বংসাত্বক সঙ্গী,
আর বদ অভ্যাস সৃষ্টি করে একটি ভয়াবহ শত্রু ।
৪।বিপদে অস্থিরতা নিজেই একটি বড় বিপদ।
৫।দ্রুত ক্ষমা করে দেয়া সম্মান বয়ে আনে আর দ্রুত
প্রতিশোধ পরায়ণতা অসম্মান বয়ে আনে ।
৬।দুনিয়ার প্রতি ভালোবাসা যত বেশি হবে,
আল্লাহর প্রতি ততোটাই কম হবে ।
৭।মন্দ লোক অন্যদের
সম্পর্কে ভালো ধারণা করতে পারে না, সর্বোচ্চ
সে তাদেরকেও নিজের মত মনে করে।
৮।যৌবনের অপচয়কৃত সময়ের ক্ষতি অবশ্যই পূরন
করতে হবে, যদি তুমি সন্তোষজনক
সমাপ্তি অনুসদ্ধান করো ।
৯।নিজের মহানুভবতার কথা গোপন রাখো, আর
তোমার প্রতি অন্যের মহানুভবতার কথা প্রচার
করো।
১০।আত্মতুষ্টি নিশ্চিতভাবে নির্বুদ্ধিতার লক্ষণ।
[হযরত আলী রাধি আল্লাহু আনহু]

নবীজী (সাঃ) এর প্রিয় ১২ টি খাবার

নবীজী (সা) এর প্রিয় ১২ টি খাবার:
১. বার্লি (জাউ): এটা জ্বরের জন্য এবং পেটের
পীড়ায়
উপকারী।
২. খেজুর: খেজুরের গুণাগুণ ও
খাদ্যশক্তি অপরিসীম। খেজুরের
খাদ্যশক্তি ও খনিজ লবণের উপাদান শরীর সতেজ
রাখে।
নবীজী (স:) বলতেন,যে বাড়ীতে খেজুর নেই
সে বাড়ীতে কোন
খাবার নেই।এমনকি সন্তান প্রসবের পর
প্রসূতি মাকে খেজুর
খাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন আল্লাহর নবী।
৩. ফিগস বা ডুমুর: ডুমুর অত্যন্ত পুষ্টিকর ও
ভেষজগুণ
সম্পন্ন যাদের পাইলস ও কোষ্ঠকাঠিন্য আছে তাদের
জন্য
অত্যন্ত
উপযোগী খাবার।
৪. আঙ্গুর: নবীজী (স:) আঙ্গুর খেতে অত্যন্ত
ভাল
বাসতেন।আঙ্গুরের পুষ্টিগুণ ও খাদ্যগুণ অপরিসীম।
এই
খাবারের উচ্চ খাদ্য শক্তির
কারণে এটা থেকে আমরা তাত্ক্ষণিক এনার্জি পাই
এবং এটা স্বাস্থ্যের
জন্য উপকারী। আঙ্গুর কিডনির জন্য
উপকারী এবং বাওয়েল
মুভমেন্টে সহায়ক। যাদের আইবিএস বা ইরিটেবল
বাওয়েল
সিনড্রোম আছে তারা খেতে পারেন।
৫. মধু- মধুর নানা পুষ্টিগুণ ও ভেষজ গুণ রয়েছে।
মধুকে বলা হয় খাবার, পানীয় ও ওষুধের সেরা।
হালকা গরম
পানির সঙ্গে মিশিয়ে মধু পান ডায়রিয়ার জন্য
ভালো।
খাবারে অরুচি,পাকস্থলীর সমস্যা, হেয়ার কন্ডিশনার
ও মাউথ
ওয়াশ হিসেবে উপকারী।
৬. তরমুজ- সব ধরনের তরমুজ স্বাস্থ্যের জন্য
উপকারী।
নবীজী (স:) তরমুজ
আহারকে গুরুত্ব দিতেন। যেসব
গর্ভবতী মায়েরা তরমুজ আহার
করেন তাদের সন্তান প্রসব সহজ হয়। তরমুজের
পুষ্টি, খাদ্য
ও ভেষজগুণ এখন সর্বজনবিদিত ও
বৈজ্ঞানিক সত্য।
৭. দুধ- দুধের খাদ্যগুণ, পুষ্টিগুণ ও ভেষজগুণ
বর্ণনাতীত।
দেড় হাজার বছর আগে বিজ্ঞান যখন
অন্ধকারে তখন
নবীজী (স:) দুধ সম্পর্কে বলেন, দুধ হার্টের জন্য
ভালো। দুধ পানে মেরুদন্ড সবল হয়,মস্তিষ্ক সুগঠিত
হয়
এবং দৃষ্টিশক্তি ও স্মৃতিশক্তি প্রখর হয়। আজকের
বিজ্ঞানীরাও দুধকে আদর্শ খাবার হিসেবে দেখেন
এবং এর
ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন ডি অস্থিগঠনে সহায়ক।
৮. মাশরুম- আজ বিশ্বজুড়ে মাশরুম একটি অত্যন্ত
পুষ্টিকর খাবার এবং মাশরুম
নিয়ে চলছে নানা গবেষণা। অথচ দেড় হাজার বছর
আগে নবীজী (স:) মাশরুম চোখের জন্য
ভালো এবং এটা বার্থ কন্ট্রোলে সহায়ক
এবং মাশরুমের
ভেষজগুণের কারণে এটা নার্ভ শক্ত করে এবং শরীর
প্যারালাইসিস বা অকেজো হওয়ার প্রক্রিয়া রোধ
করে।
৯. অলিভ অয়েল: অলিভ অয়েলের খাদ্য ও
পুষ্টিগুণ বহুমুখী।
তবে আজ মানুষের ত্বকের সৌন্দর্য রক্ষা ও বয়স
ধরে রাখার
জন্য যারা বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার ব্যয় করছেন
তাদের দেড়
হাজার বছর আগে নবীজী (স:) অলিভ অয়েল
ব্যবহারের
পরামর্শ দিয়েছেন। গবেষণায় দেখা গেছে অলিভ
অয়েল ত্বক ও
চুলের জন্য ভালো এবং বয়স ধরে রাখার
ক্ষেত্রে সহায়ক
বা বুড়িয়ে যাওয়ার প্রক্রিয়া বিলম্বিত করে।
এছাড়া অলিভ
অয়েল পাকস্থলীর প্রদাহ নিরাময়ে সহায়ক।
১০. ডালিম-বেদানা: বেদানার পুষ্টিগুণ ও খাদ্যগুণের
পাশাপাশি এটার ধর্মীয় একটি দিক
আছে এবং নবীজী (স:)
বলতেন, এটা আহারকারীদের শয়তান ও মন্দ
চিন্তা থেকে বিরত রাখে।
১১. ভিনেগার- ভিনেগারের ভেষজ গুণ ও খাদ্যগুণ
অপরিসীম।
নবীজী (স:) অলিভ অয়েলের সঙ্গে মিশিয়ে ভিনেগার
খাওয়ার
পরামর্শ দিয়েছেন। অথচ আজকের এই মডার্ন ও
বিজ্ঞানের
অভূতপূর্ব সাফল্যের যুগে বিশ্বের বড় বড় নামি-
দামি রেস্টুরেন্ট
বিশেষ করে এলিট ইটালিয়ান রেস্টুরেন্টে অভিল
অয়েল ও
ভিনেগার একসঙ্গে মিশিয়ে পরিবেশন করা হয়।
১২. খাবার পানি: পানির অপর নাম জীবন। পানির
ভেষজগুণ
অপরিসীম। দেড় হাজার বছর
আগে নবীজী (স:)পানিকে পৃথিবীর
সেরা ড্রিংক বা পানীয় হিসাবে উল্লেখ
করেছেন। সৌন্দর্য চর্চা থেকে শুরু করে স্বাস্থ্য
রক্ষায়
চিকিৎসা  বিজ্ঞানীরা আজ প্রচুর পানি পান
করতে বলেন।

সংগৃহীত

কিছু জানা অজানা তথ্য

।। কিছু জানা অজানা তথ্য ।।
► কোন দেশ শিশুদের ইংরেজি শেখানোর জন্য রোবট
শিক্ষক নিযুক্ত করেছে?
-দক্ষিণ কোরিয়া।
► যুক্তরাষ্ট্রের কোন স্টেটটি ফ্রান্সের নিকট
থেকে ক্রয় করা হয়েছিল?
-ফ্লোরিডা।
► কোন দেশ তার প্রাইমারি স্কুলগুলোর কাগজের
বইয়ের পরিবর্তে ডিজিটাল বই চালুর
পরিকল্পনা করেছে?
-জাপান।
► ২০১২ সালে সুইজারল্যান্ডের সাময়িকী ‘গ্লোবাল
জার্নাল’ বিশ্বের সেরা এনজিও কোনটি?
– উইকিমিডিয়া ফাউন্ডেশন। (বাংলাদেশের ব্রাক
৪র্থ ও আশা ৩২তম)…।
► বিশ্বে সবচেয়ে বেশি সময় ধরে অনশনরত কবি ও
মানবাধিকার নেত্রীর নাম কি?
– ইরম শর্মীলা (মণিপুর, ভারত)।
► ‘ফেয়ার ফ্যাক্স’ কি?
-গোয়েন্দা সংস্থার নাম।
► সংযুক্ত আরব আমিরাত স্বাধীনতা অর্জন
করে কবে?
-১৯৭১ সালে।
► লেডি উইথ দি ল্যাম্প হিসেবে কাকে অভিহিত
করা হয়?
-ফ্লোরেন্স নাইটিঙ্গেল।
► বিশ্বের সবচেয়ে উঁচু সেতু কোথায় অবস্থিত?
– মেক্সিকোতে।
► বিশ্বের সবচেয়ে উঁচু সেতুর নাম কি?
– বালুয়ার্তে সেতু, এর স্প্যানের উচ্চতা ৪০৩
মিটার বা ১৩২২ ফুট।
► বিশ্বের কতটি দেশের কাছে ব্যালেস্টিক মিসাইল
সাবমেরিন (SSBN) রয়েছে ও কি কি?
– ৬টি, চীন, ফ্রান্স, রাশিয়া, যুক্তরাজ্য,
যুক্তরাষ্ট্র ও ভারত।
► বিশ্বের বৃহত্তম তথ্যপ্রযুক্তি উৎসবের নাম কি?
– ইন্টারন্যাশনাল কনজিউমার ইলেক্ট্রনিক্স
শো (CES)।
নতুন কিছু জানতে পারলে লাইক দিবেন।

মৃত্যুর পুর্ব মুহূর্তের কিছু মজার বাক্য

★*★মৃত্যুর পূর্বমূহুর্তের কিছু
মজার বাক্য★*★
০১) ১৫৫৩ সালে রাজদ্রোহের
অভিযোগে সাহিত্যিক টমাস
মুর এর শিরোচ্ছেদের আদেশ
হয় ।
জল্লাদ ধারালো কৃপাণ
চালানোর আগ মুহূর্তে টমাস
মুর সময় চাইলেন । তারপর
সযত্নে তার বাবরি চুল
সরিয়ে বললেন “দেখো,
এগুলো যেন না কাটে”।
০২) ১৮৯৬ সালে চেরোকী বিল
নামে একজন
রাজনীতিবিদকে ফাঁসির
আগে কিছু ...বলতে বলা হলে তিনি বলেছিলেন
“আমি এখানে মরতে এসেছি,
ভাষণ দিতে নয়” ।
০৩) কার্ল পানযরাম
নামে এক
শিল্পীকে ফাঁসিতে ঝোলাতে গিয়ে কোন
কারণে জল্লাদের
দেরি হচ্ছিল । তাতে কার্ল
রেগে গিয়ে বলেছিলেন
“জলদি কর
বেজন্মা কোথাকার, -তোর
জায়গায়
হলে আমি এতক্ষণে এক
ডজনকে ঝুলিয়ে দিতাম”।
০৪) জর্জ আ পেল নামে এক
খুনীকে ইলেক্ট্রিক
চেয়ারে বসানো হল ।
চেয়ারে বসে সে উপস্থিত
দর্শকদের
দিকে তাকিয়ে সহাস্যে মন্তব্য
করল “বন্ধুরা, আপনারা একটু
পরেই এই চেয়ারের উপর
একটি সেদ্ধ আপেল
দেখতে পাবেন ”।
০৫) প্রাচীন রোমে সুববিয়াস
ফ্লেভাসকে শিরচ্ছেদের
মাধ্যমে মৃত্যদন্ড প্রদানের
কিছুক্ষণ আগে জল্লাদ
তাকে স্থির থাকার পরামর্শ
দেয় ।
এতে রেগে গিয়ে সুববিয়াস
বলেছিলেন
“আমি ঠিকি আছি গাধা, তোর
হাত স্থির থাকলেই
হয়”।
০৬) কুখ্যাত গ্যাংস্টার জেমস
ডব্লিউ
রজারসকে ফায়ারিং স্কোয়াডের
সামনে দাঁড় করিয়ে শেষ
ইচ্ছে জানতে চাওয়া হলে সে ঠাট্টাচ্ছলে বলেছিল
“একটা বুলেটপ্রুফ পোশাক চাই
”।
০৭) রুশ বিপ্লবী কাউন্ট
পাসটেলকে ফাঁসিতে ঝোলানোর
সময় প্রথম চেষ্টায় জল্লাদ
ব্যর্থ
হয় ।
তাতে তিনি রেগে গিয়ে বলেন
“স্টুপিড দেশ, কেমন
করে ফাঁসি দিতে হয় এরা তাও
জানে না”।
০৮) ফরাসি বিপ্লবী জিয়ান
সেলভেইন বেইরীকে যখন
বধ্যভূমিতে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল
তখন তিনি কাঁপছিলেন ।
উপস্থিত একজন এ বিষয়ে তার
দৃষ্টি আকর্ষণ
করলে তিনি বিরক্ত
হয়ে উত্তর দিয়েছিলেন “বুদ্ধু
কোথাকার, ঠান্ডায় কাঁপছি ”।
০৯) কবি হেনরী রীচার
মৃত্যুর আগের
মুহুর্তে বলেছিলেন “শুরু
হল রহস্যের….”।
১০) লেখক ও হেনরী মৃত্যুর
আগে ঘরের সব
বাতি জ্বেলে দিয়ে বলেছিলেন
“আমি অন্ধকারে বাড়ি ফিরে যেতে চাই
না ”।
☆মৃত্যুদন্ড ব্যাপারটা করুণ
হলেও ওটাকে উপভোগ্য
করেছে কিছু ব্যতিক্রমি মানুষ
৷যাই হোক কেমন হলো বলুন৷

জুম'আর দিনে করনীয়

যে ব্যাক্তি জুম 'আর দিন ফরজ
গোসলের মত গোসল করে প্রথম
দিকে মসজিদে হাজির হয়,
সে যেন একটি উট কুরবানী করল,
দ্বিতীয়
সময়ে যে ব্যাক্তি মসজিদে প্রবেশ
করে সে যেন একটি গরু
কুরবানী করল, তৃতীয়
সময়ে যে ব্যাক্তি মসজিদে প্রবেশ
করল সে যেন একটি ছাগল
কুরবানী করল। অতঃপর চতুর্থ
সময়ে যে ব্যাক্তি মসজিদে গেল
সে যেন
একটি মুরগী কুরবানী করল। আর
পঞ্চম
সময়ে যে ব্যাক্তি মসজিদে প্রবেশ
করল সে যেন একটি ডিম
কুরবানী করল। অতঃপর ইমাম
যখন
বেরিয়ে এসে মিম্বরে বসে গেলেন
খুৎবার জন্য, তখন
ফেরেশতারা লেখা বন্ধ
করে খুৎবা শুনতে বসে যায়।” (বুখারীঃ ৮৮১,
ইফা ৮৩৭, আধুনিক ৮৩০)।

খালি পেটে পানি পানের উপকারিতা

সুস্বাস্থ্যের জন্য পানি পান করুন
খালি পেটে
সুস্থ ও সবলভাবে বেঁচে থাকার খুব সহজ
একটি উপায়, প্রতিদিন অনেক
বেশি পানি পান করা। তবে কর্মব্যস্ত
নগরজীবনে আমাদের অনেকেরই
পরিমাণমত কিংবা নিয়মমাফিক
পানি পান করা হয়ে ওঠে না।
কথায় আছে খালি পেটে জল আর
ভরা পেটে ফল। খালি পেটে পানি পান
আমাদের অনেক রোগবালাই থেকে মুক্ত
রাখে। এখনতো শীতকাল চলছে।
শীতকালে অনেকের পেট
জ্বালা পোড়া কিংবা কোষ্ঠকাঠিন্যের
সমস্যা দেখা যায়। সকালে ঘুম
থেকে উঠেই পানি পান করুন, দেখবেন
শীতকালটা শরীরের জন্য ভালো কাটবে।
এমনিতেই প্রতিদিন সকালে ঘুম
থেকে উঠে খালি পেটে পানি পান
শরীরের জন্য খুব উপকারী। রাতের ঘুম
শেষে উঠে খালি পেটে পানি পান করুন।
যতটুকু পারবেন ততটুকুই পান করুন।
মাথা ব্যথা, হৃদযন্ত্রের সমস্যা,
আর্থ্রাইটিস, মৃগীরোগ, স্থূলতা,
ব্রংকাইটিস, হাঁপানি, কিডনি,
গ্যাস্ট্রাইটিস, ডায়রিয়া, পাইলস,
ডায়াবেটিস, কোষ্ঠবদ্ধতা, চোখের রোগ,
নাক ও গলার রোগসহ ঋতুস্রাবজনিত
সমস্যাগুলোতে এ পানিপান চর্চা খুবই
উপকারী।
বিশ্বের বিভিন্ন
অঞ্চলে খালি পেটে পানি পান
একটি জনপ্রিয় স্বাস্থ্যকর পদ্ধতি।
ভারতে প্রাচীন যোগগুরু
বা ঋষিরা তাদের সাধনায়
খালি পেটে পানি পানকে একটি গুরুত্বপূর্ণ
অনুষঙ্গ হিসেবে স্থান দিয়ে এসেছেন।
জাপানেও
চিকিৎসা পদ্ধতি হিসেবে খালি পেটে পানি পান
বহুল প্রচলিত।
তবে এই পানি পান একটু নিয়ম
মেনে করলে শরীরের জন্য আরও
ভালো হবে। প্রতিদিন সকালে দাঁত
ব্রাশ করার আগে চার গ্লাস পানি পান
করুন। দাঁত ব্রাশের পর ৪৫ মিনিট
পর্যন্ত কিছুই খাবেন না। এর পর
স্বাভাবিক খাওয়া দাওয়া করুন।
বৃদ্ধ অথবা দুর্বল যারা সকালে চার
গ্লাস পানি পান করতে অসমর্থ,
তারা ধীরে ধীরে পানি পানের
পরিমাণটা বাড়িয়ে নিতে পারেন।
নিয়মিত এ পানি পান চর্চা অনেক
উল্লেখযোগ্য রোগের
বিপরীতে আপনাকে স্বস্তি দেবে।
উচ্চরক্তচাপের ক্ষেত্রে নিয়মিত ৩০
দিন, গ্যাস্ট্রিকের ক্ষেত্রে ১০ দিন,
ডায়াবেটিসে ৩০ দিন,
কোষ্ঠকাঠিন্যে ১০ দিন
এভাবে পানি পান আপনাকে উপকার
দেবে নিশ্চিতভাবেই।
এছাড়া আর্থ্রাইটিস
রোগে আক্রান্তরা প্রথম সপ্তাহে তিন
দিন এবং দ্বিতীয় সপ্তাহ
থেকে প্রতিদিন পানি পান
করতে থাকুন। এভাবে পানি পানের
কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও নেই।
পানি পানকে প্রাত্যহিক জীবনযাপনের
অংশ করে নিন, আগের থেকে নিজের
শরীরকে লাগবে অনেক ফুরফুরে।
চীনারা খাবারের সঙ্গে কিন্তু
ঠান্ডা পানির বদলে গরম চা পান করে।
খাওয়ার পরপরই ঠান্ডা পানি তৈলাক্ত
খাদ্যকে কঠিন করে তোলে। পরিপাক
ক্রিয়াকেও করে তোলে ধীর। খাওয়ার
পর তাই স্যুপ বা হালকা গরম
পানি পানই অপেক্ষাকৃত নিরাপদ।
তাই সুস্থ
থাকতে নিয়মিতভাবে খালি পেটে পানি পানের
চর্চাটা চালিয়ে যেতে থাকুন। ফলাফল
নিজেই অনুভব করতে পারবেন।

রক্ত দান সম্পর্কিত কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য

রক্ত দান সম্পর্কিত কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন ও
উত্তরঃ-
1. রক্ত দানের জন্য সর্বনিম্ন বয়স?
--> আপনি ইচ্ছে করলে ১৮ বছর বয়সের পর থেকেই
রক্ত দান করতে পারেন।
2. রক্ত দান কি নিরাপদ ?
--> রক্ত দান করা সম্পূর্ন নিরাপদ।
3. রক্ত দানের কি কোন সাইড এফেক্ট আছে ?
--> না রক্ত দানের কোন সাইড এফেক্ট নাই।
4. রক্ত দানে কতটুকু রক্ত নেওয়া হয় ?
--> আপনার শরীর থেকে প্রায় 380-400মি.লি রক্ত
নেওয়া হয়।
5. কতদিন পর পর রক্ত দান করা যায় ?
-4 মাস পর পর আপনি রক্ত দান করতে পারেন।
6. রক্ত দান করতে কত সময় লাগে ?
--> 5-7, সর্বোচ্ 15 মিনিট সময় লাগে। বিশ্রাম
এবং অন্যান্য সময় ধরলে সর্বমোট ১
ঘন্টা লাগতে পারে।
7. রক্ত দান করতে ব্যাথা লাগে কি ?
--> জ্বী না। রক্ত দানের সময় আপনি ব্যাথা পাবেন
না।
8. রক্ত দানের ফলে আমার কি অঙ্গান
হয়ে পড়তে পারি ?
-->না, রক্ত-দান করার পর অবশ্যই বিশ্রাম নিবেন।
9. কিভাবে রক্ত নেওয়া হয় ?
--> প্রথমে আপনার বাম হাত থেকে আধা সিরিজ
রক্ত নেওয়া হয়, ক্রস মেসিং ও অন্যান্য
পরীক্ষা করার জন্য। তারপর আপনার ডান হাতের
বাহুতে একটি সিরিন্জ দিয়ে রক্তটানার
ব্যাবস্থা করা হয়। নিডিলটি ঢোকানোর সময় সামান্য
ব্যাথা লাগে। তারপর আর ব্যাথা লাগবে না।
আপনার রক্ত একটি নলের মাধ্যমে স্যালাইনের মত
একটি ব্যাগে সহজেই জমা হয়ে যায়।
10. রক্ত দানের জন্য সর্বনিম্ন ওজন কতটুকু ?
--> রক্ত দান করতে চাইলে আপনার ওজন 47
কেজির বেশী হতে হবে।
11. রক্ত দানের পর আমার হাত ফুলে বা রক্ত জমাট
বেধে বা ইনফেক্সন হতে পারে কি ?
--> হাতের যেখান থেকে রক্ত
নেয়া হয়েছে সেখানে ম্যসেজ করবেন না।
ফুলে যাওয়া , জমাট বাধা বা ইনফেক্সনের
সম্ভবনা নেই বললেই চলে।
12. এলকোহল ( মদ) খাবার পর রক্ত দান করা যায়
কি ?
--> না । রক্ত দেবার ২৪ ঘন্টা পূর্বে এলকোহল পান
করলে রক্ত দান করা যাবে না। পান করার ২৪
ঘন্টা পর রক্ত দিতে পারেন।
13. এন্টিবায়টিক ওষুধ খাওয়া অবস্থায় রক্ত দান
করা যাবে কি ?
--> না। এন্টিবায়োটিক খাবার অন্তত ৭ দিন পর,
সম্পূর্ন সুস্থ হলে তারপর রক্ত দান করা যাবে।
14. ব্লাড প্রেশারের রোগী রক্ত দান করতে পারবেন
কি ?
--> হ্যা। যদি আপনার রক্তচাপ
নিয়ন্ত্রনে থাকে আপনি রক্ত দান করতে পারেন।
15. শিশু বুকের দুধ খায় এ অবস্থায় রক্ত দান
করা যাবে ?
--> না। যখন শিশু শুধুমাত্র বুকের দুধ পান করে তখন
রক্ত দান করা যাবে না।
16. শিশুর জন্মের কতদিন পর মা রক্ত-দান
করতে পারেন ?
--> শিশুর জন্মের ১৫ মাস পর মা রক্তদান
করতে পারেন।
17. সর্দি লাগা/ জ্বর থাকা অবস্থায় রক্ত দান
করা যাবে ?
--> ঠান্ডা বা সর্দি লাগা অবস্থায় যেহেতু
একটি জীবানু সংক্রামন থাকে সেহেতু রক্ত দান
করা যাবে না।
18. জন্ম নিয়ন্ত্রন পিল খাবার সময় রক্ত দান
করা যাবে কি ?
--> হ্যা। জন্ম নিয়ন্ত্রন পিল খাবার সময় রক্ত দান
করা যাবে।
19. ডায়বেটিক রোগী রক্ত দান করতে পারেন ?
--> না। যে সমস্ত ডায়াবেটিক রোগী ইনসুলিন গ্রহন
করেন তাদের
রক্ত দান না করাই ভালো। তবে বিশেষ
প্রয়োজনে তারা রক্ত দান
করতে পারেন।
20. রোগের ভ্যাকসিন নেবার পর রক্ত দান
করা যাবে ?
--> না। ভ্যাকসিন নেবার অন্তত ৪ সপ্তাহ পর্যন্ত
রক্ত দান করা যাবে না।
21. রক্ত দানের আগে আমার কি করা উচিত ?
--> আগের রাতে ভাল ভাবে ঘুমান। সকালে ভাল
নাস্তা করুন। ক্যাফেইন যুক্ত পানীয় ( চা , কফি)
খাবেন না। বেশী চর্বিযুক্ত খাবার খাবেন না।
পর্যাপ্ত পানি পান করুন।
22. রক্ত দানের সময় কি করা উচিত ?
--> হাফ হাতা পোষাক পরুন। রিল্যাক্স থাকুন।
রক্তদান শেষে পর্যাপ্ত বিশ্রাম নিন।
23. রক্ত দানের পর কি করা উচিত ?
--> রক্ত দানের পর পর্যাপ্ত তরল পান করুন
অন্তত ৪ গ্লাস( স্যালাইন, ফলের রস)। ৫
ঘন্টা পর্যন্ত ভারী কাজ করবেন না।
মাথা ঘুরলে শুয়ে পড়ুন, এবং পা মাথার
চেয়ে উচুতে রাখুন( পায়ের নীচে একটি বালিশ দিন)।
দুশ্চিন্তা মুক্ত থাকুন। ধুমপান করবেন না ৫ ঘন্টা।

হাদীস (নারী পুরুষ নীরবে দেখা করা প্রসঙ্গে)

হযরত ওমর (রাঃ)
থেকে বর্ণিত।
রাসূলুল্লাহ (সাঃ)
ইরশাদ করেছেন,
"যখনই কোন পুরুষ পর
নারীর সাথে নির্জনে
দেখা করে তখনই
শয়তান সেখানে
তৃতীয় ব্যক্তি হিসেবে
উপস্থিত হয় ।"
--[সুনানে তিরমিযী,
হাদিস নং-২১৬৫, সহীহ
ইবনে হিব্বান,
হাদিস নং-৫৫৮৬]