শনিবার, ১৩ এপ্রিল, ২০১৩

মুসলমান মেয়েদের কপালে টিপ ব্যবহার করা ইসলাম পরিপন্থী

অনেক মুসলমান মেয়ে কপালে টিপ
পরতে পছন্দ করে। কিন্তু আপনি এটা জানেন কি,
টিপ যে একটি বিশেষ ধর্মের পরিচয় ও সংস্কৃতির
অংশ-- শুধুমাত্র তা কিন্তু নয়; ইসলাম ধর্মে টিপের
একটি ইতিহাস বর্ণিত আছে। আপনি মানেন
বা না মানেন, বিশ্বাস করেন আর নাই করেন,
নিজেকে যদি মুসলিম হিসেবে পরিচয় দেন,
তাহলে নিচের কাহিনীটি পড়ুনঃ
হযরত ইবরাহীম (আঃ) কে হত্যা করার জন্য পাপিষ্ঠ
নমরুদ বিভিন্ন পদ্ধতি অবলম্বন করেও বিফল হয়।
অবশেষে সে একটি বিশাল অগ্নিকুণ্ড নির্মাণ করে।
কিন্তু সেটি এত বড় এবং ভয়াবহ ছিল যে,
সেখানে কোনো মানুষের পক্ষে ইবরাহীম (আঃ)
কে ধরে নিয়ে নিক্ষেপ করা সম্ভব হচ্ছিল না।
অগ্নিকুণ্ডের বহুদুর থেকেই আগুনের ভয়াবহ উত্তাপ
টের পাওয়া যাচ্ছিলো। অবশেষে নমরুদ
'মিনজানিক' (চড়ক গাছ) তৈরি করলো, যাতে বহুদুর
থেকেই ইবরাহীম(আঃ) কে আগুনে নিক্ষেপ করা যায়।
কিন্তু ফেরেশতারা সেটি ধরে রাখায় সেটি ঘুরছিল না।
এরপর শয়তান এসে নমরুদকে বুদ্ধি দিলো যে,
অপবিত্র স্থান থেকে কয়েকজন
বেশ্যাকে এনে যদি 'মিনজানিক' কে স্পর্শ
করানো যায়,
তাহলে ফেরেশতারা দূরে সরে যাবে এবং 'মিনজানিক'
কাজ করবে। নমরুদ তাই
করলো এবং দেখা গেলো যন্ত্রটি কাজ করছে। নমরুদ
ওই বেশ্যাদের কপালে চিহ্ন দিয়ে চিহ্নিত
করে রাখলো এই ভেবে যে, এই বেশ্যাদের দ্বারা তার
উপকার হয়েছে এবং এদেরকে পরে তার দরকার
হতে পারে। সেই থেকে কপালে টিপ পরার প্রচলন শুরু
হয়। (এখানে বিশেষ কারনে উল্লেখ্য যে, নমরুদের
আমলেই ব্যাপকভাবে মূর্তিপূজারও প্রচলন শুরু হয়।)
সূত্রঃ
* তাফসীরে মা'রেফুল কুরআন, হযরত ইবরাহিম (আঃ)
মূলগ্রন্থ।
* তাবারী, তারীখ, ১খ, ১২৩-১২৪; ছা'লাবী
* আদি গ্রন্থ, কাসাসুল আম্বিয়া, পৃষ্ঠাঃ ৮১,
আদি ইসলামী ইতিহাস
* ইবনে কাসীর
কিন্তু দুর্ভাগ্য এই যে, টিপকে অনেকেই
বাঙালি সংস্কৃতির অংশ বলে মনে করেন। কিন্তু
উপরে বর্ণিত ঘটনা অনুযায়ী মোটেও তা নয়।
অনেকেই হয়তো টিপের এই ঘটনাটি জানতেন না।
কিন্তু এই ঘটনা জেনেও যদি কোনো মুসলিম
নারী টিপ পরে, তাহলে আর বলার কিছু নেই।
হিন্দুরা টিপ পরে, কারন এটা তাদের ধর্মীয় সংস্কৃতির
অংশ। কিন্তু মুসলিম নারীদের টিপ পরা উচিত নয়,
কারন এটা ইসলামের পরিপন্থী।