সোমবার, ১১ মার্চ, ২০১৩

আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। রাসুলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেনঃ তোমরা সাতটি জিনিসের পূর্বেই অবিলম্বে সব কাজ করে ফেল।

আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। রাসুলুল্লাহ (সাঃ)
বলেছেনঃ তোমরা সাতটি জিনিসের পূর্বেই
অবিলম্বে সব কাজ করে ফেল।
1) তোমরা কি অপেক্ষায় থাকবে যে , এমন দারিদ্র্য
আসুক যা ইসলামের নির্দেশ পালন
থেকে ভুলিয়ে রাখে ?
2) তোমার এমন ঐশ্বর্য আসুক যা ইসলাম
বিরোধিতার দিকে ঠেলে দেয়?
3) তোমার এমন রোগ হোক যা শরীরকে খারাপ
করে দেয়?
4) তোমার এমন বার্ধক্য আসুক যা বুদ্ধিকে নষ্ট
করে দেয়?
5) তোমার হঠাত মৃত্যু এসে পড়ুক ?
6) অদৃষ্ট দুষ্ট দাজ্জাল আত্মপ্রকাশ করুক?
7) কিয়ামত এসে যাক ? ( আর কিয়ামত তো খুবই
ভীষণ ও তিক্ত)
[ ইমাম তিরমিযী]

নবী (সাঃ) এর সুন্নত কে ভালবাসার ফযীলত

যারা নবীর
সুন্নাতকে ভালবাসে এবং মেনে চলে তাদের
সম্পর্কে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়াসাল্লাম
বলেছেন,
"যে আমার
সুন্নাতকে ভালবাসে সে আমাকে ভালবাসে। আর
যে আমাকে ভালবাসে সে আমার
সাথে জান্নাতে যাবে।"
{জামে তিরমিযি-২/৯৬}
আর যারা সুন্নাতকে ভালবাসে না এবং বিদ্রুপ
করে তাদের
সম্পর্কে হাদিসে বলা হয়েছে-
হযরত আনাস (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,
"যে আমার সুন্নতের পরোয়া করবে না সে আমার
উম্মত নয়।"
{মুসলিম-১/৯৪, বুখারী-২/৭৫৭}

পুরুষের পর্দা (হিজাব)

পুরুষের পর্দা
হিজাব বা পর্দা ইসলামের একটি বিধান। জ্যোতির্ময়
কুরআন প্রথম উল্লেখ করেছে পুরুষের পর্দা।
তারপরে তা নারীর জন্য।
(হে রাসূল!) মোমেন পুরুষদের বলোঃ তারা যেন
নিজেদের চোখকে বাঁচিয়ে চলে। এবং নিজেদের
লজ্জাস্থান সমূহ হেফাজত তরে। এটা তাদের
আরো পবিত্র হয়ে ওঠার জন্য অত্যন্ত কার্যকর।
(তাদের চরিত্র নির্মাণের জন্য) যা কিছুই
তারা করে অবশ্য অবশ্যই আল্লাহ সে সব কিছু
সম্পর্কেই খবর রাখবেন। (সূরা নূরঃ ৩০)
যে মুহুর্তে একটি পুরুষ একজন নারীর প্রতি দৃষ্টিপাত
করলো যদি কোনো ধরনের অশ্লিল চিন্তা মাথায়
এসে যায় এই ভয়ে সাথে সাথে তার
দৃষ্টি নামিয়ে নেবে।

প্রকৃত আল্লাহর ওলি চেনার উপায়

~~ আল্লাহ'র প্রকৃত ওলী (বন্ধু) কে চেনার উপায়
কী ?
**প্রশ্নঃ কাউকে আল্লাহর ওলী ভেবে, তার
কাছে বিপদে উদ্ধার কামনা করার জন্য ফরিয়াদ করার
হূকুম কী ? আল্লাহর ওলী হওয়ার জন্য শর্ত কয়টি??
এবং আল্লাহর ওলী হওয়ার সঠিক আলামত কী?
***উত্তরঃ আল্লাহপাক নিজে কুরানে কারীমে তার
ওলী হওয়ার শর্ত এবং গুনাগুন বর্ননা করেছেন,
তিনি বলেনঃ " মনে রেখ যে আল্লাহর ওআলীদের
না আছে কোন ভয় আর না আছে কোন চিন্তা।
তারা হচ্ছে সেই সব লোক, যারা ঈমান
এনেছে এবং আল্লাহকে ভয় করে চলে" --
( সূরা ইউনুসঃ৬২-৬৩)
তো আমরা দেখতে পেলাম, আল্লাহর ওআলী হওয়ার
জন্য প্রধান শর্ত হলো ২ টি , আর তা হলো, ঈমান
এবং তাকওয়া। সুতরাং যে মুমিন
হবে এবং আল্লাহকে ভয় করে চলবে, সে-ই
আল্লাহর ওআলী বা বন্ধু। আল্লাহর
ওআলী হওয়ার জন্য শর্ত নয় যে তাকে " কেরামত
" (KARAMOT) দেখাতে হবে সমাজের মানুষের কাছে !
হ্যাঁ তবে আল্লাহ যদি চান তাহলে সেই ব্যক্তির
মাধ্যমে কিছু প্রকাশ করতে পারেন, কিন্তু এটা ঐ
ব্যক্তির ওআলী হওয়ার সত্যতার যাচাঈ এর জন্য
নহে।
যারা আল্লাহর সাথে শির্ক করবে, তারা আল্লাহর
ওলী নয় বরং তারা আল্লাহর দুশমন! আল্লাহপাক
কুরানে কারীমে বলেনঃ " যে ব্যক্তি আল্লাহ, তাঁর
রাসূল তাঁর ফেরেশতাগনের, জীবরীলের
এবং মিকাঈলের দুশমন হয়, নিশ্চ'ই এরুপ কাফেরদের
দুশমন" (সূরাঃ বাকারাঃ৯৮)
সুতরাং যে কোন মুসলিম আল্লাহ ছাড়া অন্যের
কাছে দুয়া করবে অথবা আল্লাহ ছাড়া অন্যের
কাছে চাইবে , এমন বিষয়ে যা তাদের ক্ষমতার বাহিরে,
তাহলে সেই ব্যক্তি কাফির-মুশরিকে পরিণত হবে।
সে কখনি আল্লাহর ওলী হতে পারেনা। যদিও
সে তা দাবী করে থাকে। বরং তাওহীদ, ঈমান
এবং তাকওয়া বিহীন তার এ দাবী সম্পূর্ন মিথ্যা।
মুসলমান ভাইদের প্রতি আমার উপদেশ হল,
তারা যেন স্ব- ঘোষিত আল্লাহর ওলী(!!) দের
থেকে দূরে থাকেন ! এবং তাদের দ্বারা প্রতারিত
না হয়ে , যেন তারা তাদের সকল সমস্যার সমাধানের
জন্য আল্লাহ কিতাব এবং রাসূলুল্লাহ (সা) এর
রেখে যাওয়া সাহীহ হাদীছের দ্বারস্থ হন। এতে ভন্ড
দের হাত থেকে তাদের ঈমান , আমল এবং আকীদা ,
ধন-সম্পদ সব কিছুর-এ হেফাযত থাকবে।
আমাদের সমাজে যারা আল্লাহর ওআলী হওয়ার
দাবী করে, তাদের দিকে যদি আপনি তাকান,
তাহলে দেখতে পাবেন যে, আল্লাহ কুরানে যেই
২টি শর্ত বর্ননাকরছেন সেই গুলা তাদের মাঝে নাই !
অথচ তারা এবংতাদের বক্ত"মুরীদ রা দাবী করেন
তিনি আল্লাহর" ওলী-এ কামেল " ! অথচ আল্লাহর
প্রকৃত ওলী রা কখন-ই এই রকম প্রচার করে নাহ !
বা প্রচার বাহিনী তৈরী করেন নাহ !
প্রকৃত পক্ষ যিনি আল্লাহ ওলী তারা কখনো ,
নিজেদের কে আল্লাহর ওলী হিসেবে পরিচিত
করতে চান নাহ।
আপনি তাকে মুত্তাকী এবং তাকওয়া শীল
হিসেবে পাবেন। তারা কখন-ই তাদের গুন'গান
করারজন্য মুরীদ বাহিনী তৈরী করবেন নাহ ! আর
না দেখাবেন কেরামতির নামে ভেলকীবাজি। আর
আল্লাহর ওলী রা কখন-ই পছন্দ করবেন নাহ মানুষ
রা তার দিকে ছুটে আসুক আর তাকে সম্মান করুক,
আর যদি দেখেন সে মূলত এটাই চায় ,
তাহলে ধরে নেবেন সেই ব্যক্তি আল্লাহ ওলী নয় !
কারন আল্লাহপাক কুরানে যেই ২টি শর্ত
বর্ননা করেছেন আল্লাহর ওলী হওয়ার জন্য সেই
দুটির খেলাফ ঐসব কাজ।
মুসলিম ভাইদের প্রতি আমার নসীহত হল, তারা যেনএ
সমস্থ কথিত এবং স্ব-ঘোষিত ওলীদের
থেকে দূরেথাকবেন এবং আল্লাহর কিতাব
এবং নাবী (সা) এর রেখে যাওয়া সুন্নাত এর
দিকে ফিরে এসে, আল্লাহকে-ই যেন শুধু আশা-
ভরসার কেন্দ্রস্থল হিসেবে গ্রহন করেন।
[" ফতোয়া আরকানুল ইসলাম "
শাইখ মুহাম্মদ বিন ছালেহ আল উছাইমিন (রহঃ)
সাবেক সদস্য সৌদী সর্বোচ্চ উলামা পরিষদ &
ফতোওয়া