বুধবার, ৬ মার্চ, ২০১৩

খালি পেটে পানি পানের উপকারিতা

সুস্বাস্থ্যের জন্য পানি পান করুন
খালি পেটে
সুস্থ ও সবলভাবে বেঁচে থাকার খুব সহজ
একটি উপায়, প্রতিদিন অনেক
বেশি পানি পান করা। তবে কর্মব্যস্ত
নগরজীবনে আমাদের অনেকেরই
পরিমাণমত কিংবা নিয়মমাফিক
পানি পান করা হয়ে ওঠে না।
কথায় আছে খালি পেটে জল আর
ভরা পেটে ফল। খালি পেটে পানি পান
আমাদের অনেক রোগবালাই থেকে মুক্ত
রাখে। এখনতো শীতকাল চলছে।
শীতকালে অনেকের পেট
জ্বালা পোড়া কিংবা কোষ্ঠকাঠিন্যের
সমস্যা দেখা যায়। সকালে ঘুম
থেকে উঠেই পানি পান করুন, দেখবেন
শীতকালটা শরীরের জন্য ভালো কাটবে।
এমনিতেই প্রতিদিন সকালে ঘুম
থেকে উঠে খালি পেটে পানি পান
শরীরের জন্য খুব উপকারী। রাতের ঘুম
শেষে উঠে খালি পেটে পানি পান করুন।
যতটুকু পারবেন ততটুকুই পান করুন।
মাথা ব্যথা, হৃদযন্ত্রের সমস্যা,
আর্থ্রাইটিস, মৃগীরোগ, স্থূলতা,
ব্রংকাইটিস, হাঁপানি, কিডনি,
গ্যাস্ট্রাইটিস, ডায়রিয়া, পাইলস,
ডায়াবেটিস, কোষ্ঠবদ্ধতা, চোখের রোগ,
নাক ও গলার রোগসহ ঋতুস্রাবজনিত
সমস্যাগুলোতে এ পানিপান চর্চা খুবই
উপকারী।
বিশ্বের বিভিন্ন
অঞ্চলে খালি পেটে পানি পান
একটি জনপ্রিয় স্বাস্থ্যকর পদ্ধতি।
ভারতে প্রাচীন যোগগুরু
বা ঋষিরা তাদের সাধনায়
খালি পেটে পানি পানকে একটি গুরুত্বপূর্ণ
অনুষঙ্গ হিসেবে স্থান দিয়ে এসেছেন।
জাপানেও
চিকিৎসা পদ্ধতি হিসেবে খালি পেটে পানি পান
বহুল প্রচলিত।
তবে এই পানি পান একটু নিয়ম
মেনে করলে শরীরের জন্য আরও
ভালো হবে। প্রতিদিন সকালে দাঁত
ব্রাশ করার আগে চার গ্লাস পানি পান
করুন। দাঁত ব্রাশের পর ৪৫ মিনিট
পর্যন্ত কিছুই খাবেন না। এর পর
স্বাভাবিক খাওয়া দাওয়া করুন।
বৃদ্ধ অথবা দুর্বল যারা সকালে চার
গ্লাস পানি পান করতে অসমর্থ,
তারা ধীরে ধীরে পানি পানের
পরিমাণটা বাড়িয়ে নিতে পারেন।
নিয়মিত এ পানি পান চর্চা অনেক
উল্লেখযোগ্য রোগের
বিপরীতে আপনাকে স্বস্তি দেবে।
উচ্চরক্তচাপের ক্ষেত্রে নিয়মিত ৩০
দিন, গ্যাস্ট্রিকের ক্ষেত্রে ১০ দিন,
ডায়াবেটিসে ৩০ দিন,
কোষ্ঠকাঠিন্যে ১০ দিন
এভাবে পানি পান আপনাকে উপকার
দেবে নিশ্চিতভাবেই।
এছাড়া আর্থ্রাইটিস
রোগে আক্রান্তরা প্রথম সপ্তাহে তিন
দিন এবং দ্বিতীয় সপ্তাহ
থেকে প্রতিদিন পানি পান
করতে থাকুন। এভাবে পানি পানের
কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও নেই।
পানি পানকে প্রাত্যহিক জীবনযাপনের
অংশ করে নিন, আগের থেকে নিজের
শরীরকে লাগবে অনেক ফুরফুরে।
চীনারা খাবারের সঙ্গে কিন্তু
ঠান্ডা পানির বদলে গরম চা পান করে।
খাওয়ার পরপরই ঠান্ডা পানি তৈলাক্ত
খাদ্যকে কঠিন করে তোলে। পরিপাক
ক্রিয়াকেও করে তোলে ধীর। খাওয়ার
পর তাই স্যুপ বা হালকা গরম
পানি পানই অপেক্ষাকৃত নিরাপদ।
তাই সুস্থ
থাকতে নিয়মিতভাবে খালি পেটে পানি পানের
চর্চাটা চালিয়ে যেতে থাকুন। ফলাফল
নিজেই অনুভব করতে পারবেন।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন