রবিবার, ১০ মার্চ, ২০১৩

সুন্নতি নামের তাৎপর্য


✿সুন্নতি নামের তাৎপর্য✿
*নবী করীম (সাঃ) বলেছেন,যার একটি পুত্র সন্তান জন্মগ্রহণ করল
অতঃপর সে আমার প্রতি ভালবাসা বশতঃ আমার নামের বরকতলাভের
জন্য তার সন্তানের নাম "মুহাম্মদ" রাখবে।সে এবং তার সন্তান উভয়ই
বেহেস্তের অধিবাসী হবে।(কানযুল উম্মাল)
*রাসুল (সাঃ) বলেছেন, যে ব্যক্তি (নিজের) কল্যানলাভের আশায়
"মুহাম্মদ" নাম ধারন করে,কিয়ামত পর্যন্ত তার বরকত নাভ হবে।
(কানযুল উম্মাল)
*রাসুল (সাঃ) বলেছেন ,একদল লোক যদি পরামর্শ করতে বসে
আর তাদের মধ্যকার "মুহাম্মদ" নামক ব্যক্তিকে পরামর্শে শামিল না করে
তবে তাদের পরামর্শে কোন কল্যাণ হবে না।(কানযুল উম্মাল)

মুফতী মুহাম্মদ হাবীব ছামদানী'র "নবীজী (সাঃ) এর সুন্নাত" বই থেকে নেওয়া

সালাম এর গুরুত্ব এবং ফযীলত

সালামের গুরুত্ব ও ফযীলত:
একদা এক ব্যক্তি নাবী (সা:) এর
নিকটে এসে বললেন, আস্সালামু আলাইকুম। তখন
তিনি বললেন, লোকটির জন্য
১০টি নেকী লেখা হয়েছে।এরপর আরেক ব্যক্তি এস
বলল, ওয়া রাহমাতুল্লাহ নাবী তার জওয়াব
দিয়ে বললেন, তার জন্য ২০টি নেকী লেখা হয়েছে।
অত:পর আরেক ব্যক্তি এসে বললেন
ওয়া বারাকাতুহু। রাসুলুল্লাহ তারও জওয়াব
দিয়ে বললেন, লোকটির ৩০টি নেকী লেখা হয়েছে।
(মিশকাত হা/৪৬৪৪)
হাদীসে আছে, পারষ্পরিক সালাম বিনিময়ে পারষ্পরিক
ভালোবাসা বৃদ্ধি পায়।(মিশকাত হা/৪৬৩১)
এক মুসলিমের উপর অন্য মুসলিমের ছয়টি হক্ক
রয়েছে, তার মধ্যে অন্যতম হল যখন তার
সাথে সাক্ষাত হবে তখন তাকে সালাম দিবে।(মিশকাত
হা/৪৬৩০)
সালাম না দেয়া একটি কৃপণতা। হাদীছে আছে যে,
যে সালাম দিতে কার্পন্য করে তার চেয়ে বেশী কেউ
কৃপণ নয়।
(মিশকাত হা/৪৬৬৫)
সালাম দানের পদ্ধতি:
সালামের সর্বনিম্ন বাক্য হচ্ছে
আস্সালামু আলাইকুম।
বর্ধিত করে
আস্সালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ
ওয়া বারাকাতুহু।
সালামের জওয়াব দেয়া ওয়াজিব। সালামের
উত্তরে সালাম দাতার বাক্যের চেয়ে বর্ধিত
করে বলা উচিত।
সালাম দানের পদ্ধতি সম্পর্কে হাদীসে এসেছে,
আবু হুরায়রা (রা:)হতে বর্ণিত,রাসূলুল্লাহ সা:
বলেছেন, ছোট বড়কে সালাম
দিবে,পথচারী বসা ব্যক্তিকে এবং কমসংখ্যক লোক
বেশী সংখ্যক লোকদেরকে সালাম প্রদান করবে।
(মিশকাত হা/৬৪৩২-৩৩)
অন্য এক হাদীসে আছে,
আরোহী ব্যক্তি পায়ে চলা ব্যক্তিকে সালাম দিবে।
এ নীতি মালা রাসূলুল্লাহ সা: নিজে অনুসরণ করতেন,
একদা কতিপয় বালকের নিকট গিয়ে গমন
করলে তিনি তাদের সালাম দনে।তিনি বয়সে বড়
হওয়া সত্তেও তারা সংখ্যায় বেশী হওয়ায় তাদের
সালাম দিলেন।(মিশকাত হা/৪৬৩৪)
তাই শিক্ষকের উচিত ক্লাসে ঢুকে সালাম দেয়া।অথচ
আমাদের সমাজে দেখা যায় উল্টো।
এই নীতি মহিলাদের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য্।নাবী সা:
একদা কতিপয় মহিলার নিকট দিয়ে যাচ্ছিলেন
তিনি তাদের সালাম করলেন। (মিশকাত হা/৪৬৪৭)
অন্য ধর্মালম্বীকে সালাম
দেয়া যাবে কিনা তা নিয়ে মতভেদ আছে।
তবে তারা সালাম দিলে তাদের উত্তরে শুধু
“ওয়া আলাইকুম” বলতে হবে,এর চেয়ে বেশী নয়।
(মিশকাত হা/৪৬৩৭-৩৮)
সালামের বাক্যগুলো বিকৃত করা হারাম। যেমন
স্লামালেকুম, সালাম কুম, সামেকুম ।
হাদীসে আছে,
নাবী সা: বলেন, ইহুদীর যখন তোমাদের সালাম দেয়
তখন তারা বলে, আস-সামু আলাইকা (অর্থ: তোমার
ধ্বংস হোক।) এর
জওয়াবে তুমি বলবে ওয়া আলাইকা।(মিশকাত
হা/৪৬৩৬)