বৃহস্পতিবার, ৭ মার্চ, ২০১৩

নারী দিবস উপলক্ষে


নেককার নারী স্বভাব এত উন্নত হয় যে,
স্বয়ং আল্লাহ তাদেরকে সালাম পাঠান:
নারী দিবসে নারীদের জন্য স্পেশাল মেসেজ....
রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, (হেরাগুহায় ধ্যানমগ্ন
থাকার দিনগুলিতে) একদিন জিবরীল (আঃ) নবী করীম
(ছাঃ)-এর নিকট এসে বললেন, ‘হে আল্লাহর রাসূল!
এই যে খাদীজা একটি পাত্র নিয়ে আসছেন।
তাতে তরকারী ও খাদ্যদ্রব্য রয়েছে। তিনি যখন
আপনার নিকট আসবেন, তখন আপনি তাঁকে তাঁর
প্রতিপালকের পক্ষ থেকে এবং আমার পক্ষ
থেকে সালাম বলবেন এবং তাঁকে জান্নাতের
মধ্যে মুক্তাখচিত এমন একটি প্রাসাদের সুসংবাদ
দিবেন, যেখানে হৈ-হুল্লোড় নেই, নেই কোন কষ্ট’।
[মুত্তাফাক্ব আলাইহ, বঙ্গানুবাদ মিশকাত,
হা/৫৯২৫, ১১/১৮৯]
এমনিভাবে মা আয়েশা (রাঃ) কেও জিবরীল (আঃ)
সালাম জানিয়েছেন। জবাবে তিনিও জিবরীল (আঃ)-
কে সালাম জানান। [মুত্তাফাক্ব, বঙ্গানুবাদ মিশকাত,
হা/৫৯২৭, ১১/১৯০ ]
সুতরাং নেককার নারীরা তাদের বৈশিষ্ট্য
নিয়ে সমাজে থাকবে মাথা উঁচু করে। সমাজ
দেখবে হাদীছে যে সমস্ত নারীকে তিরষ্কার
করা হয়েছে, তারা সেই সব নারী নয়। তারা আমলে,
আক্বীদায়, যোগ্যতায় অনেক পুরুষের চেয়েও উত্তম।
কুরআন হাদীছে নারীদের যে অনিষ্টের
কথা বলা হয়েছে, তা দ্বারা শরী‘আত
অমান্যকারী নারী উদ্দেশ্য। যাদের সংসার
দেখাশুনা করার, বাচ্চা প্রতিপালনের যোগ্যতা নেই।
সামান্য কথায় ঝগড়া করে। পুরুষের সাথে কাঁধ
মিলিয়ে সমঅধিকার চায়। যারা ঘরের বধূ হওয়ার
চেয়ে অফিসের ‘ম্যাডাম’ হওয়াকে বেশি আকর্ষণীয়
মনে করে তাদের উদ্দেশ্যে বলা হয়েছে।
এজন্য সৎ নারীরা তাদের অবস্থানে থেকে মন্দ
নারীদের ভয়াবহ পরিণতি তাদের নিকট তুলে ধরবে।
তারা যেন পুরো জাতির চরিত্র নষ্টের কারণ না হয়,
তাদের মাধ্যমে যেন যেনা ছড়িয়ে না পড়ে, যুব চরিত্র
ধ্বংস না হয়- তা বুঝিয়ে বলবে। তাই নারীদের
দাওয়াতের প্রয়োজনীয়তা খুব বেশী।
পাশাপাশি নেককার নারীদের যে সম্মান, নিরাপত্তা,
প্রশান্তি সর্বশেষে জান্নাতের সুসংবাদ ঘোষিত
হয়েছে তা শুনিয়ে নারীদেরকে সেদিকে আগ্রহী করে গড়ে তুলতে হবে।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন