বুধবার, ১৭ এপ্রিল, ২০১৩

আল্লাহর সাথে শিরকের ভয়াবহতা

শিরক এমনই এক পাপ যে, শিরক করলে পূর্বের
সকল আমল নষ্ট
হয়ে যায়। আল্লাহ বলেন, ‘আপনার
প্রতি এবং আপনার
পূর্ববর্তীদের প্রতি প্রত্যাদেশ হয়েছে যে,
যদি আপনি আল্লাহর শরীক স্থাপন করেন,
তাহলে আপনার কর্ম
নিষ্ফল হয়ে যাবে। আর
আপনি ক্ষতিগ্রস্তদের একজন
হবেন’ (যুমার ৬৫)। মহান আল্লাহ আরো বলেন,
‘যদি তারা শিরক করত তবে তাদের
আমলসমূহ নষ্ট হয়ে যেত’ (আন‘আম৮৮)। শিরক
এমন এক গুরুতর অপরাধ যে, তা শিরককারীর
জন্য
জান্নাতকে হারাম করে দেয় এবং জাহান্নাম
অপরিহার্য
করে দেয়। এ মর্মে আল্লাহ বলেন, ‘নিশ্চয়ই
যে ব্যক্তি আল্লাহর সাথে অংশীদার স্থাপন
করে আল্লাহ তার জন্য জান্নাত হারাম
করে দেন এবং তার
বাসস্থান হবে জাহান্নাম। আর
অত্যাচারীদের কোন
সাহায্যকারী নেই’ (মায়েদাহ ৭২)। একই
মর্মে হাদীছে এসেছে, ‘যে ব্যক্তি আল্লাহর
সাথে শরীক
না করে মৃত্যুবরণ করবে সে জান্নাতে প্রবেশ
করবে। আর
যে ব্যক্তি তাঁর সাথে কাউকে শরীক
করে মৃত্যুবরণ
করবে সে জাহান্নামে প্রবেশ করবে (মুসলিম
হা/২৬৬৩)। শিরক ধ্বংস ও বিপর্যয়ের কারণ। এ
সম্পর্কে আল্লাহ বলেন,
‘নিশ্চয়ই আল্লাহ ও তার রাসূল মুশরিকদের
থেকে দায়মুক্ত’ (তওবা ৩)। অন্যত্র
তিনি বলেন,
‘যে আল্লাহর সাথে শরীক করে সে যেন
আকাশ
থেকে ছিটকে পড়ে আর
পাখি তাকে ছো মেরে নিয়ে যায়
অথবা বাতাস
তাকে উড়িয়ে নিয়ে দূরবর্তী স্থানে নিক্ষেপ
করে’ (হজ্জ ৩১)। শিরক এমন এক জঘন্য অপরাধ
যে অপরাধের কারণে উক্ত
অপরাধীর জন্য আল্লাহর
কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করা যাবে না। আল্লাহ
বলেন, ‘নবী ও মুমিনদের জন্য উচিৎ নয় যে,
তারা মুশরিকদের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করবে,
তারা আত্মীয়ই
হোক না কেন। বিষয়টি সুস্পষ্ট হওয়ার পর
যে তারা জাহান্নামী’ (তওবা ১১৩)। শিরকের
ভয়াবহতা তার শেষ পরিণতির চিত্র দেখলেই
স্পষ্ট
হয়ে যায়। যা কল্পনা করাও কঠিন। তাই শিরক
সম্পর্কে আমাদেরকে কতটুকু সচেতন
হওয়া প্রয়োজন
সে কথা বলার আর অপেক্ষা রাখে না।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন